আয় করুন

ঘরে বসে মার্কেটিং

মার্কেটিং করে আয় করুন

 যারা ঘরে বসে স্বাধীন কোন আয়ের কথা ভাবছেন, তাদের জন্যে এফ্যিলিয়েট মার্কেটিং একটি ভাল সুযোগ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে, ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসে আয় করা যেতে পারে।তবে তা করতে হলে আপনার প্রয়োজন হবে একটি ইন্টারনেট কানেকশন আর একটি ল্যাপটপ বা কম্পিউটার। অনলাইনে আয় করার যে সব বৈধ উপায় গুলো রয়েছে এর মধ্যে অন্যতম এফিলিয়েট মার্কেটিং। তবে এ মার্কেটিং সম্পর্কে আপনার স্বচ্ছ ধারণা থাকা যেমন জরুরী তেমনি ধৈর্যেরও প্রয়োজন। আসুন এ মার্কেটিং সম্পর্কে একটু ধারণা নেওয়া যাক, প্রথমত বলা যায়, বড় বড় কোম্পানিগুলো তাদের পণ্যে প্রচার এবং প্রসার ঘটাতে এবং বিক্রি বাড়াতে সারা দুনিয়া থেকে কর্মী নিয়োগ দেয়, এবং তারা ঘরে বসে ইন্টারনেটে প্রচার করে তাদের পণ্য বিক্রি করে এবং ওই পণ্য বিক্রি করে যে লাভ হয় তার একটি নির্দিষ্ট অংশ আপনাকে দেয়। এভাবেই আপনি অন্যর পণ্য বিক্রি করে উপার্জন করতে পারেন।

মার্কেটিং করতে যা দরকার


 আগেই বলেছি, আপনার একটি ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার সেট এ কাজের জন্যে দরকার হবে। এর পর এ ধরণের মার্কেটিং করতে কিছুটা পড়াশুনা দরকার, কেননা এখানে টিকে থাকতে বা সফলতা পেতে আপনার প্রয়োজন কিছু কৌশল এবং মার্কেটিং দক্ষতা। আর সে জন্যে পড়াশুনার কোন বিকল্প নাই। এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করবেন সে বিষয়ে আজকাল নেটে সার্চ দিলে অনেক তথ্য সহজেই পেতে পারেন। এছাড়াও রয়েছে অনেক ভিডিও যা আপনি ইউটিউব থেকে দেখে নিতে পারেন। তবে, আমার অভিজ্ঞতা থেকে আমি বলতে পারি, এ কাজে সবচেয়ে বেশি যেটি প্রয়োজন সেটি হল ধৈর্য। আর ধৈর্য যদি না থাকে তাহলে এ কাজ আপনার জন্যে না, আপনি বরং অন্য কোন আয়ের পথ বেছে নেন, শুধু শুধু সময় নষ্ট না করাই ভাল।

আপনার একটি ওয়েবসাইট প্রয়োজন হবে

এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে আপনার নিজের একটি ওয়েবসাইট দরকার হবে। কেননা, আপনি যেসব মার্কেট প্লেসে কাজ করবেন তাদের বিজ্ঞাপন প্রচার করতে আপনার এটি দরকার। আপনি যখনই কোন কোম্পানির বিজ্ঞাপনের প্রচার করে আয় করতে চাইবেন, তখন তারা আপনার ওয়েবসাইট এড্রেস দেখতে চাইবে। আর তাই আপনার ওয়েবসাইট যত ভাল হবে তত ভাল ভাল মার্কেট প্লেসে আপনি কাজ করার সুযোগ পাবেন। চিন্তায় পড়ে গেলেন নাতো? না না চিন্তার কোন কারণ নাই, কেননা আপনি ফ্রি-তেও একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে ব্লগার বা ওয়ার্ড-প্রেস এর কথা বলবো, এরা আপনাকে ফ্রিতে ওয়েব পেজ বা ওয়েবসাইট বানিয়ে নিতে দেয়, আপনি ফ্রি ওয়েবসাইট দিয়েই কাজ শুরু করে দিতে পারেন। তবে ডোমেন কিনে নিজের একটি ওয়েবসাইট থাকলে ভাল হয়। একটি ওয়েবসাইট বানাতে খুব বেশি টাকা দরকার হয়না। ওয়েবসাইট নিয়ে আমি বিস্তারিত অন্য কোন লিখায় আলোচনা করবো। 

টাকা বিনিয়োগ করবেননা

মনে রাখা দরকার, অন-লাইনে যেমন আসল আয়ের পথ আছে, তেমনি এখানে অনেক প্রতারকও আছে। কোন কোন ওয়েবসাইট আপনার কাছে এফিলিয়েট মার্কেটিং শিখিয়ে দেবার নাম করে টাকা চাইতে পারে, সতর্ক থাকুন। মনে রাখবেন, এটি একটি দীর্ঘ অভিজ্ঞতার বিষয়, আপনার যত অভিজ্ঞতা হবে আপনি ততই কাজ বুঝে যাবেন। কেউ টাকা নিয়ে আপনাকে রাতারাতি শিখিয়ে দিতে পারবে না। 

কতটা আয় হতে পারে

এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আপনি বিশাল অঙ্কের টাকাও আয় করতে পারেন, এটা নির্ভর করে আপনার দক্ষতার উপর। আপনি যত ক্রেতার কাছে পণ্য বিক্রি করতে পারবেন আপনার তত বেশি আয় হবে। আসলে এটি নির্ভর করে আপনার প্রচার কতটা তার উপর। এখন, আপনি কিভাবে প্রচার করবেন বা কোথায় প্রচার করবেন সেটিও আপনাকে জানতে হবে। 
আমাদের দেশের অনেক এফিলিয়ের মার্কেটার মাসে কয়েক লক্ষ টাকাও আয় করছে, তাই এ পদ্ধতিতে ভাল আয় করতে পারলে আপনার অন্য কোন আয়ের উপর নির্ভর না করলেও চলবে। মোট কথা, ভাল ভাবে শিখে যদি কাজটি করেন তাহলে আর পিছনে তাকাতে হবেনা।

আমাদের দেশে এখন ইন্টারনেটকে কাজে লাগিয়ে ঘরে বসে লক্ষ লক্ষ লোক কাজ করে বিদেশি মুদ্রা ঘরে তুলছে, এফিলিয়েট মার্কেটিং সে সব আয়ের উৎসের একটি। তাই লেগে পড়ুন আজ থেকেই আপনিও পারবেন।

মিছবাহ ফারাজী


Comments

Popular posts from this blog

ফরেক্স' এ লট বা ভলিউম নিয়ে কথা

লিখালিখি