আয় করুন

লিখালিখিতে সহায়ক শক্তি হতে পারে ব্রেইনস্টোর্মিং

আপনি লিখালিখি করেন অথচ প্রায়শই আপনার লিখার গতি কমে যায়, যার অন্যতম একটি কারণ হল আপনি লিখার প্লট বা কী লিখবেন খুঁজে পাচ্ছেন না। এটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার যেটি প্রায় সব লেখকের ক্ষেত্রে ঘটে থাকে। শুধু তাই না, আপনি যদি লিখার জগতে নতুন হন তাহলেও এটি ঘটতে পারে, এটি একটি সাধারণ সমস্যা। তবে এনিয়ে চিন্তিত হয়ে হতাশ হবার কোন কারণ নাই, কেননা এ সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্যে বিশেষজ্ঞরা কিছু উপায় খুঁজে পেতে চেষ্টা করেছেন, "ব্রেইনস্ট্রোমিং" Brainstroming হল উপায়গুলোর একটি। আসুন জেনে নেই কিভাবে আপনি তার চর্চা করবেন।
ধরা যাক আপনি কোন লিখা নিয়ে এগুতে পারছেন না, এক্ষেত্রে আপনি আপনার চিন্তা কে মুক্ত করে দেন। অর্থাৎ আপনার মনে যা আসে তাই লিখুন, শব্দ, বাক্য অথবা ভাব বা প্রকাশ ভঙ্গি এসব নিয়ে ভাবনা ছেড়ে দিন, এমনকি যতি চিহ্ন, বানান কোন কিছুর দিকে না তাকিয়ে লিখে যান। এরকম লিখার সুবিধা হল, যখন আপনি মনের আনন্দে যা মনে আসছে তাই লিখছেন তখন আপনার অতিরিক্ত বিচার-বুদ্ধি এবং কৌশল প্রয়োগের জন্যে মস্তিষ্কের যে অংশটুকু ব্যস্ত থাকতো সে অংশটি কাজ করছেনা, কারণ আপনি যা লিখছেন তা আপনি সচেতন ভাবে লিখতেন না। যখন এ কাজটি আপনি করবেন তখন একটি সময়সীমা ঠিক করে নিন, অর্থাৎ আপনি ১০ মিনিট নাকি ২০ মিনিট এভাবে লিখে যাবেন সেটি নির্ধারণ করুণ, এবং সেই সময়সীমা পর্যন্ত লিখে যান। আপনি এটি করতে পারেন কম্পিটারে, খাতা-কলমে অথবা মনে মনে। এমনকি আপনি এটা চোখ বন্ধ করেও মনে মনে করতে পারেন। এরকম অনুশীলনের ফলে আপনার লিখার গতি এবং মুক্তভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, যেখানে রয়েছে সৃষ্টিশীলতা এবং গতিময়তা। এ পদ্ধতি অনুশীলন করার সময় আপনি যা লিখবেন তার কোন অর্থ থাকার দরকার নাই, অর্থাৎ প্রসংগ, বাক্য বা শব্দ যা যেমন খুশি চলতে পারে।
যাইহোক যখন আপনি এভাবে লিখে যাবেন, হয়ত আপনার সে লিখার কোন অর্থ খুঁজে পাওয়া যাবে না, কিন্তু যে কাজটি হবে সেটি হল আপনার লিখার ভিতর আপনি খুঁজে পাবেন অনেক নতুন শব্দ এবং লিখার ধারণা। যা দিয়ে আপনি লিখার গতির সাথে ধারণাও লাভ করবেন। এখন, লিখা গুলো থেকে আপনি প্রয়োজনীয় শব্দ এবং ধারণা গুলোকে নোট করে নিন।

"ব্রেইনস্ট্রোম" কি কি কাজে লাগে

অনেকের কাছে "ব্রেইনস্ট্রোমিং" Brainstroming এর ধারণাটি  পরিচিত না হলেও এটা উন্নত বিশ্বে ব্যাবহার হয়ে আসছে। এটি যেমন নিজের লিখালিখির গতি এবং নতুন নতুন ধারণা পেতে সহায়তা করে, অপরদিকে দলীয়ভাবে এই পদ্ধতি খুব কাজে লাগে। অনেক কোম্পানি তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপন তৈরি করার সময় নতুন ধারণা এবং শব্দভাণ্ডার পেতে দলীয় ভাবে এ পদ্ধতিতে কাজ করে থাকে। এটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি, তবে এটি প্রয়োগের ক্ষেত্রে এবং ভাল ফলাফল পেতে বিভিন্ন রকম অনুশীলনের আশ্রয় নেওয়া যেতে পারে। এ পদ্ধতিটি ব্যক্তিগত ভাবে কাজে লাগাতে চাইলে, লিখার ধরণ এবং বিষয় বস্তুকে সামনে রেখে ভিন্নতার আশ্রয় নেওয়া যেতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
আসলে আপনি যখন এভাবে কাজ করবেন তখন আপনার মাথার জড়তাকে দূর করে সেখানে এক উদ্ভাবনী চিন্তা চেতনার উদ্ভব ঘটে। শুধু তাই নয়, এর সাথে একরকম গতিময়তার সৃষ্টি হয়, ফলে আপনার লিখা অর্থপূর্ণ, সৃজনশীল এবং গতিময় হয়। অনেকেই জড়তা কাটিয়ে নিয়ে পুরো উদ্যমে কাজ করতে এ পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকেন।

মিছবাহ ফারাজী

Comments

Popular posts from this blog

ঘরে বসে মার্কেটিং

ফরেক্স' এ লট বা ভলিউম নিয়ে কথা

লিখালিখি